শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জ জেলার লাখাইয়ে হাওরে নৌকাভ্রমণে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নববধূ।
এ ঘটনার ছয় দিন পর বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) দুপুরেওই নববধূর স্বামী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বিচারক জিয়াউদ্দিন মাহমুদ মামলাটি আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইয়ার করতে লাখাই থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলো- উপজেলার মোড়াকড়ি গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া (২৬), ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২১), পাতা মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২২), বকুল মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (২৩), মিজান মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৫), ইকবাল হোসেনের ছেলে সোলায়মান রনি (২২), ওয়াহাব আলীর ছেলে মুছা মিয়া (২০) ও রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯)।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলা ছাত্রলীগ সদস্য সোলায়মান রনি (২২), মিঠু মিয়া (২১) এবং শুভ মিয়া (১৯)।
লাখাই থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে মিঠু ও রনিকে আটক করেছে র্যাব। পরে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লাখাই থানায় সোপর্দ করলে তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়। একইদিন পুলিশ শুভকে গ্রেফতার করেছে।
বাদী পক্ষের আইন হাফিজুল ইসলাম জানান, এক মাস আগে ওই দম্পতির তাদের বিয়ে হয়। গত ২৫ আগস্ট দুপুরে বাড়ির পাশের হাওরে তারা নৌকাভ্রমণে যান।
নৌকায় নবদম্পতি, তাদের এক বন্ধু ও মাঝি ছিলেন। ওই সময় আরেকটি নৌকায় করে গ্রামের আট যুবক তাদের নৌকার গতি রোধ করে নববধূর স্বামী ও তার বন্ধুকে মারধর করে আটকে রাখে।
পরে নববধূকে নিজেদের নৌকায় তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ ঘটনার ভিডিও তারা মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে।
এরপর ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় আসামিরা। এ কারণে বিষয়টি এতদিন গোপন করে রাখা হয়েছিল। তবে ঘটনার চার দিন পর ওই যুবকরা ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে।
টাকা না দেয়ায় এলাকার কয়েকজনের কাছে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয় তারা। এরপর নববধূর স্বামী মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে নববধূর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।