বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে মারধর থেকে বৃদ্ধা মাকে বাঁচাতে গিয়ে ছোট ভাইয়ের আঘাতে জখম হয়েছেন বড় দুই ভাই।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়নের খলাগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- খলাগাঁও গ্রামের জাকির হালদার (৫০) ও বশির হালদার (৪৫)। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় বশিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত জাকিরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত বশির হালদার বাদী হয়ে ছোট ভাই অলি হালদার (৩৫) ও তার স্ত্রী নুপুরকে (৩০) আসামি করে টঙ্গীবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খলাগাঁও গ্রামের মৃত ইসলাম হালদারের স্ত্রী বৃদ্ধা নাজমা বেগম (৭৫) দীর্ঘদিন ধরে তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
সন্তানদের মধ্যে বড় ছেলে জাকির হালদার ও মেঝো ছেলে বশির হালদার তার ভরণপোষণ দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ছোট ছেলে অলি হালদার মায়ের ভরণপোষণ দিতেন না।
উল্টো প্রায়ই বকাঝকা ও মারধর করেন। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে অলি ও তার স্ত্রী নুপুর বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে নাজমা বেগমকে মারধরের চেষ্টা করেন।
এ সময় মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার বড় ছেলে জাকির ও বশিরকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ও কাঠ দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেন অলি। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে টঙ্গিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখান থেকে বশিরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুঠোফোনে জাকির হালদার বলেন, আমার ছোট ভাই ও তার স্ত্রীর মারধরে আমার মেঝো ভাই এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে। আমরা তাকে নিয়ে এখন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছি।
এদিকে, বৃদ্ধা নাজমা বেগম বলেন, আমি আমার ছোট সন্তানের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। তার ভয়ে আমি বাড়িতে থাকতে পারি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, অলি হালদার দুষ্টু প্রকৃতির লোক। তিনি প্রায়ই মাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মারধর করেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত অলি হালদারের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে টঙ্গিবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।