বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

দুই শিশুকে নদীতে ফেলে দিলো লঞ্চ কর্তৃপক্ষ!

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

চাঁদপুরগামী ইমাম হাসান-৫ লঞ্চ থেকে মুন্সিগঞ্জের মেঘনা নদীতে ২ শিশুকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে লঞ্চ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

ভাসতে থাকা দুই শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গজারিয়া থানার ওসি মো. রইছ উদ্দিন ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করেন। এরা হল নোয়াখালী জেলার সজীব (১২) ও মেহেদুল (১৩)।

গজারিয়া থানার ওসি রইস উদ্দিন জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে স্পিডবোটে মেঘনা নদী পার হওয়ার সময় দুই শিশুর চিৎকার শুনে তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ ঘাটে নিয়ে আসি।

শিশু দুইটি লঞ্চে পানি বিক্রি করে। ইমাম হাসান-৫ নামের একটি লঞ্চে তারা ঢাকা থেকে চাঁদপুর যাচ্ছিল। ভাড়া না থাকায় কর্তৃপক্ষ তাদের লঞ্চ থেকে ফেলে দেয়।

তাদেরকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ ঘাটে নিয়ে এসে সেখানে দুপুরের খাবার খেতে দেই। পরে ভাড়া দিয়ে চাঁদপুরগামী অন্য লঞ্চে একটি পরিবারের সঙ্গে তুলে দেই।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইমাম হাসান-৫ লঞ্চের মাস্টার দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুই শিশু নিজেদের ইচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। যাত্রীরা আমাদের অবগত করে।

তিনি আরো বলেন, বড় বড় লঞ্চগুলো যখন ঘাটগুলোর সামনে দিয়ে যায়, তখন স্থানীয় ট্রলারগুলো লঞ্চের গায়ে ভিড়ে। সেই সময় যাত্রীরা ওঠানামা করে।

মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় দুই শিশু ট্রলার দেখতে না পেয়ে কিছুটা সামনে যাওয়ার পর লাফ দেয়। তারা ভেবেছিল ট্রলার এসে তাদের নিয়ে যাবে। কিন্তু এই লঞ্চ মুন্সীগঞ্জ ঘাটের নোঙর করে না।

তাদের ফেলে দেয়া হয়নি। সব যাত্রী দেখেছেন। আমরা ফেলে দিলে যাত্রীরা আমাদের বাধ্য করে লঞ্চ থামিয়ে দিতে পারতো। তা ছাড়া এসব শিশু পানি বিক্রেতার কাছ থেকে ভাড়া নেয়া হয় না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।