বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শ্যালিকাকে ধর্ষণ

নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ঘর থেকে তুলে নিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুলাভাই মুলকাস উদ্দিনের (৩৫) বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে দূর্গাপুর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাই।

এর আগে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কোনাফান্দা গ্রাম থেকে আহত অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে রবিবার পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে দুর্গাপুর থানা পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত চার বছর আগে মা ও গত ছয় মাস আগে বাবার মৃত্যুর পর একমাত্র ভাইয়ের সাথেই উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় বাস করে আসছিলো ওই কিশোরী।

ভাই পেশায় অটোরিকশা চালক। বোনকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ায়। কিন্তু অটো চালানোর জন্য বেশিরভাগ সময় বোন বাড়িতে একা থাকে। এদিকে প্রায়ই কিশোরীদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো খালাতো বোনের জামাই মুলকাস।

শনিবার দিবাগত রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের দরজায় কড়া নাড়েন তিনি। কিশোরী তার ভাই এসেছে ভেবে দরজা খুলে দেয়।

দরজা খুলতেই মুখে কাপড় বেঁধে তুলে নিয়ে কিছুটা দূরে পাহাড়ি ঝরনার পাশে ধর্ষণ করে। ওই কিশোরীর চিৎকার শুনে কয়েকজন কৃষক ছুটে আসলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ধর্ষক মুলকাস। পরে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন কৃষকরা।

স্থানীয়রা আরো জানান, বাবা-মা হারা এতিম দুই ভাইবোন অনেক কষ্ট করে কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছে। একমাত্র অটোচালক ভাইয়ের আয়েই চলে তাদের সংসার। এরপরেও স্থানীয় কিছু ব্যক্তির সব সময় কুনজর পরিবারটির দিকে।

ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, রাতে কে যেন আমার দরজায় ডাকাডাকি করতেছিলো, আমি ভাই আসছে ভেবে ঘুম ঘুম চোখে দরজা খুলছি। অন্ধকারের মধ্যে তেমন কিছু দেখতে পারিনি, তার আগেই একটা কাপড় দিয়ে আমার মুখ বেঁধে আমাকে জঙ্গলে নিয়ে গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্গাপুর থানার ওসি শাহ আলম জানান, আমরা কিশোরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনায় প্রেরণ করেছি। একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।