বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৪:০০ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি
বিয়ের ১৫ মাস পর জানা গেল, রনি মোল্লা শুধু কলেমা পড়ে বিয়ে করেছেন। তাঁদের বিয়ের রেজিস্ট্রি ছিল ভুয়া। গৃহবধূ খালেদার ভাই জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি জানান। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশের সহযোগিতায় এই দম্পতির বিয়ের নিবন্ধন করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায়। ওই এলাকার শেখমাটিয়া গ্রামের রনি মোল্লা (২৫) বিয়ের পর স্ত্রীকে কাবিননামার কপি দিতে টালবাহানা করছিলেন।
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী খালেদা আক্তারকে (২৩) প্রায়ই মারধর করতেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রনি মোল্লা স্ত্রীকে মারধর করেন।
খবর পেয়ে খালেদা আক্তারের বাবা ও দুই ভাই রনি মোল্লার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে খালেদাকে আটকে রাখা অবস্থায় পান তাঁরা।
দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে খালেদার বাবা মাহাতাব শেখ জামাতা রনি মোল্লার কাছে মেয়ের বিয়ের কাবিনের কপি দেখতে চান।
এ সময় রনি মোল্লা জানান, কোনো কাবিন হয়নি। এ নিয়ে রনি মোল্লা তাঁর শ্বশুর ও দুই শ্যালককে মারধরও করেন। রাতে খালেদার এক ভাই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান।
রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষ নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। এরপর আজ শুক্রবার দুপুরে ওই দম্পতির বিয়ের নিবন্ধন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩ জুন উপজেলার শেখমাটিয়া গ্রামের মোতালেব মোল্লার ছেলে রনি মোল্লার সঙ্গে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার সমনকাঠী গ্রামের মাহাতাব শেখের মেয়ে খালেদা আক্তারের বিয়ে হয়।
বিয়ের সময় বরপক্ষ প্রতারণা করে ভুয়া রেজিস্ট্রি করে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে রনি মোল্লা স্ত্রী খালেদা আক্তারকে প্রায়ই মারধর করতেন।
নাজিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন আহম্মেদ বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন কলের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়ে ওই নারীর খোঁজ নেয়। পরে আজ দুপুরে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে।