শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে, স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি

নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোনার মদনে নিজের ধর্ম ও পরিচয় গোপন করে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক এক গার্মেন্টসকর্মীকে বিয়ে করেন তাপস চন্দ্র বিশ্বাস। ৩ বছর সংসার করার পর এখন স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় আত্মহত্যার চেষ্টা চালান ওই নারী। 

সোমবার সকালে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কেশজানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করায় এলাকায় আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। 

জানা যায়, উপজেলার কেশজানী গ্রামের সুধাংশু বিশ্বাসের ছেলে তাপস চন্দ্র বিশ্বাস গাজীপুরে কাঁচামালের ব্যবসা করার সুবাদে গার্মেন্টসকর্মী শেরপুর জেলার সদর উপজেলার এক তরুণীর (২০) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে।

এক পর্যায়ে তাপস চন্দ্র বিশ্বাস নিজের পরিচয় আড়াল করে সুমন ইসলাম পরিচয় দিয়ে ২০১৮ সালে ১৩ ডিসেম্বর ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক মৌলভীর মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে প্রায় তিন বছর ঘর সংসার করে। 

৫ মাস আগে মেয়েটিকে কোনো কিছু না বলেই সে বাড়িতে চলে আসে। গত ৭ সেপ্টেম্বর সে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এ সংবাদের প্রেক্ষিতে মেয়েটি বিয়ের একদিন পর স্বামীর গ্রামের বাড়িতে আসলে তাকে মানসিক রোগী বলে পুলিশ হেফাজতে পাঠায়। মদন থানার পুলিশ তাকে নেত্রকোনা সদর থানায় পাঠায়।

এদিকে স্বামী তাপস চন্দ্র বিশ্বাস তার ২য় স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে বলে আগের স্ত্রীকে মোবাইলে মেসেজ পাঠায়। এরই প্রেক্ষিতে রোববার ওই তরুণী কেশজানী স্বামীর বাড়িতে আসে। স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তাকে গ্রহণ না করায় সে অনশনে বসে এবং এক পর্যায়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। 

অনশনরত ওই তরুণী জানান, মুসলিম পরিচয় দিয়ে আমার সঙ্গে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক মৌলভীর মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয়। দীর্ঘ ৩ বছর সংসার করার পর আমাকে ছেড়ে বাড়িতে এসে ২য় বিয়ে করে।

বিয়ের খবর পেয়ে আমি আসলে আমাকে মানসিক রোগী বানিয়ে বিদায় করে দেয়। আমার মা বাবা এই খবর শুনে আমাকে বাবার সংসার থেকে তাড়িয়ে দেয়।

আমি নিরুপায় হয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে এখানে এসেছি। আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিলে আমি যাব না, আমার লাশ যাবে। সে আমার গর্ভের ২টি সন্তানও নষ্ট করেছে।

২য় স্ত্রী সান্তা রানী নমদাস জানান, সে মুসলিম, আমি হিন্দু। আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করে এনেছে। আমি এখানেই থাকব।

অভিযুক্ত তাপস চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ওই তরুণীর সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে যদি বিয়ের কাগজপত্র দেখাতে পারে তাহলে আমি তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করব।

ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সোমবার ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মেয়েটি লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এর আগে মানসিক রোগী বানিয়ে সদর থানায় কেন প্রেরণ করা হয়েছিল বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি সত্য নয়। সদর থানা থেকে তার পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।