বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মানিকগঞ্জে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার বাসচালক খোকন মিয়াকে (২৮) ছাড়াতে থানায় এসেছেন তার দুই স্ত্রী।
শনিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম আসামি খোকন মিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানা চত্বরে খোকন মিয়ার দুই স্ত্রীর দেখা মেলে। একজনের সঙ্গে অন্যজনের তেমন যোগাযোগ না থাকলেও তারা দুজনেই স্বামীকে ছাড়াতে তদবির করতে থানায় ঘুরাঘুরি করছেন।
খোকন মিয়ার প্রথম স্ত্রীর বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার দেওয়াইর বাজার এলাকায়। ২০১৪ সালে খোকন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। এরপর তাদের ঘরে আসে দুই সন্তান। প্রথম সন্তান মেয়ের বয়স ৮ বছর এবং ২য় সন্তান ছেলের বয়স ২ বছর।
আর দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ি খোকন মিয়ার নিজ এলাকায়। প্রথম স্ত্রীর বিষয় গোপন রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন খোকন। পরে জানাজানি হয়। ২০১৪ সালের শেষ দিকে বিয়ে হয় তাদের। এই ঘরেও রয়েছে এক কন্যা সন্তান। যার বয়স মাত্র ৮ মাস
খোকনের প্রথম স্ত্রী বলেন, স্বামীর গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে পেরে থানায় এসেছেন। অভাব অনটনে কোনোরকমে দিন যায় তাদের। স্বামী একদিন কাজ করলে দুই দিন বসে থাকে। এরপর আবার এই ঘটনা। এখন সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকা ছাড়া গতি নেই। তাই থানায় অফিসারদের হাত-পা ধরে স্বামীকে ছাড়াতে এসেছেন বলে জানান তিনি।
আর দ্বিতীয় স্ত্রী বলেন, বিয়ের সময় প্রথম স্ত্রীর বিষয়ে জানতেন না তিনি। বিয়ের পর বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরও স্বামীকে নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখেন। অভাবের দায়ে নিজে পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। আলাদা বাসায় থাকলেও মাঝেমাঝে তার বাসায় যেতেন স্বামী খোকন মিয়া। তার ঘরেও রয়েছে এক কন্যা সন্তান।
স্বামীর বিষয়ে থানা পুলিশে তদবিরের বিষয়ে তিনি বলেন, স্বামী একটা ভুল করে ফেলেছে। তাই সকলের কাছে স্বামীর পক্ষ থেকে তিনি ক্ষমা চাচ্ছেন। তবে এ বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই বলে জানাচ্ছে থানা পুলিশ।
সাটুরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেছে কলেজছাত্রী। খোকনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি।