বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৩:২০ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

ছাত্রলীগ নেতার হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে যুবক কারাগারে

মাগুরা প্রতিনিধিঃ

মাগুরার শালিখায় ছাত্রলীগ নেতার হয়ে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা দিতে গিয়ে আল আমিন মোল্লা (২২) নামে এক যুবক ধরা পড়েছেন।

তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) উপজেলার সিংড়া তিলখড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

শালিখা উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের সভাপতি মোজাহার বিশ্বাসের বদলে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন আল আমিন মোল্লা। তিনি শালিখা উপজেলার শ্রীহট্ট গ্রামের আকতার মোল্লার ছেলে।

আল আমিন ছাত্রলীগ নেতা মোজাহার বিশ্বাসের ভাতিজা এবং মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

তিলখড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব কুমুদ রঞ্জন বিশ্বাস জানান, শালিখা উপজেলার সিংড়া-তিলখড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি (ভোকেশনাল ট্রেড কোর্স) পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল শালিখা উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের সভাপতি মোজাহার বিশ্বাসের।

তিনি শালিখার শ্রীহট্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল ট্রেডের ছাত্র। মঙ্গলবার ছিল এগ্রো বেসড ফুড বিষয়ের পরীক্ষা। যেখানে মোজাহারের বদলে পরীক্ষা দিতে আসে তার ভাতিজা আল আমিন। 

কেন্দ্রে উপস্থিত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারহানুল হক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আটক করেন। এ সময় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেন আল আমিন।

পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র আটক আল-আমিনকে এক বছরের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করে কারাগারে পাঠান।

মোজাহার বিশ্বাসের বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। 

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন মুক্তা বলেন, মোতাহার স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের শেল্টারে ছাত্রলীগের স্বঘোষিত একটি কমিটির সভাপতি। সে আমাদের সংগঠনের কেউ নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।