বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

৩৪ বছর পর নৌকায় চড়েই ডুবলেন কাদের

কুষ্টিয়া পোস্ট ডেস্কঃ

আব্দুল কাদেরের বয়স ৭০ বছর। বয়সের অর্ধেক ৩৪ বছর ধরে তিনি একনাগাড়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এবারও চেয়েছিলেন চেয়ারম্যান পদের বয়সটা আরও বাড়িয়ে নিতে।

এ জন্য প্রথমবারের মতো নৌকায় চড়েছিলেন তিনি। আর এবারই কিনা হেরে বসলেন তিনি। ফলে এলাকার মানুষ বলছে, নৌকায় চড়েই ডুবলেন কাদের!

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের মদাতী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন কাদের। গত রোববার অনুষ্ঠিত ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, আব্দুল কাদের কালীগঞ্জের ভোটমারী উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হারিকেন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। এরপর থেকে একটানা ৩৪ বছর দখলে রাখেন চেয়ারম্যান পদটি।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রয়াত মজিবর রহমানের সঙ্গে আব্দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।

২০০২ সালে তৎকালীন উপমন্ত্রী ও জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলুর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি।

বিএনপি ক্ষমতা হারানোর পর দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থেকে ২০১৫ সালে তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান সমাজকল্যাণমন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি।

বাগিয়ে নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ। ২০১৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেও তিনি জিতেছিলেন। পরাজয়ের গ্লানি ছিল না তাঁর দীর্ঘ জীবনে। অথচ এবার প্রথমবার নৌকার মাঝি হয়ে হেরে বসলেন।

স্থানীয়দের মতে, বিগত নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় প্রচুর খরচ করেছেন আব্দুল কাদের। এটা ভোটাররা ভালোভাবে নেননি। তা ছাড়া, মদাতী ইউনিয়নে নৌকাবিরোধী ভোট বেশি থাকায় ব্যক্তি পছন্দের হলেও প্রতীকের কারণে পরাজিত হয়েছেন আব্দুল কাদের।

পরাজয় বিষয়ে আব্দুল কাদের বলেন, ‘ভেবেছিলাম সরকারি দলের প্রতীক পাওয়ায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আগের চেয়ে বেশি ভোট দেবেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো।

নৌকা প্রতীক দেওয়া হলেও আমার পাশে দাঁড়ায়নি স্থানীয় আওয়ামী লীগ। আর নৌকা প্রতীকের কারণে অধিকাংশ সাধারণ ভোটার আমাকে ভালোবাসলেও নৌকায় ভোট দেননি। তাই পরাজয় ঘটেছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।