বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামাবাদ দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারলেন না ফজিলা খাতুন।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন তিনি। কেন্দ্রের বুথ থেকে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগেই ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। তবে তিনি ভোট দেননি।
ফজিলা খাতুনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ধানখালি পূর্ব গ্রামে। তিনি বলেন, আমি ভোট দিতে গেলে বুথ থেকে বলছে, আমি আগেই ভোট দিয়েছি। তবে আমি ভোট দেইনি। ভোট দিলে হাতে কালি থাকত।
ফজিলা খাতুনের স্বামী আব্দুল ওহাব বলেন, আমার স্ত্রী ভোট দিতে পারছে না। বলছে, ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। আমার স্ত্রীর ভোট দিল কে?
ফজিলা খাতুনকে নিয়ে বুথের মধ্যে মুখোমুখি করা হলে দায়িত্বপালনকারী সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সেলিম ও এজেন্টরা বলেন, ফজিলা খাতুনের ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। এখন আমাদের কিছু করার নেই। এখন তিনি ভোট দিতে পারবেন না।
ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বাইরের মানুষ। এখানকার কাউকে তো চিনি না। যারা এজেন্ট রয়েছে তারা এটি দেখল না কেন? তার ভোট যেহেতু দিয়ে ফেলেছে এখন কিছু করার নেই। তবে তিনি ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আবার আসলে শেষের দিকে তাকে শান্ত্বনা ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে একইভাবে ওই বুথে স্বপ্না আক্তার বিথিও ভোট দিতে পারছেন না। তার ভোটটিও আগেই কেউ দিয়ে দিয়েছে।
গাজীপাড়া পূর্ব ধানখালি গ্রামের শহিদুল ইসলাম গাজীর মেয়ে স্বপ্না আক্তার বিথি বলেন, আমিও ভোট দিতে পারছি না। আমার ভোট নাকি আগেই কেউ দিয়ে দিয়েছে। আমার ভোট আরেকজন কীভাবে দেয়?