বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

৩৫ মণের `সিংহরাজ’ নিয়ে দুশ্চিন্তায় সুচিন্ত্য

ক্ষুদ্র পান ব্যবসায়ী সুচিন্ত্য কুমার শখের বসে পাশের জেলা কুষ্টিয়া থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড় কিনে আনেন। আদর করে নাম রাখেন সিংহরাজ।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার সিংগাইর বাজারে সুচিন্ত্য কুমারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনে বসত বাড়িতে বেড়ে উঠেছে ‌‘সিংহরাজ’।

চার বছরের ব্যবধানে সেই সিংহরাজ বিশালাকার ধারণ করেছে।প্রস্তুত করা হয়েছে কুরবানি ঈদে বিক্রির জন্য। ১০ ফুট লম্বা আর ৬ ফুট উচ্চতার কালো রঙের এই ষাঁড়টির ওজন প্রায় ৩৫ মণ।

ঈদ ঘনিয়ে এলেও বিশাল আকারের এই ষাঁড়টির ক্রেতা না থাকায় দুশ্চিন্তায় সুচিন্ত্য কুমার সেন। গত কুরবানি ঈদেও মান সম্মত দাম না পাওয়ায় গরুটি বিক্রি করতে পারে নাই তিনি।

বিশালাকারের এই ষাঁড়টির প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকার খাবার দিতে হয়। তার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রয়েছে, খুদের ভাত, ডাব ও গুড় দিয়ে তৈরি শরবত, কাঁচা-পাকা কলা, গমের ভুসি, ভুট্টার গুড়া, চালের কুড়া, খেসারি ডালের ভুসি, ছোলা ভাঙা, তিল বা সয়াবিনের খৈল ও কাঁচা ঘাস।

সিংগাইর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন শেখ বলেন, কুরবানি ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তবে এখনো সিংহরাজ কে সঠিক মূল্য দিয়ে কেনার মতো কোন ক্রেতা আসে নাই। এবারের কুরবানি ঈদে ষাঁড়টি বিক্রি করতে না পারলে ওর প্রতিদিনের খাবার কিনতে পথে বসে যাবে মালিক।

সিংহরাজের মালিক সুচিন্ত্য কুমার সেন বলেন, চার বছর আগে মাত্র ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম ষাঁড়টি। আদর করে নাম রাখি ‘সিংহরাজ’। একে লালনপালন করতে গিয়ে আজ আমি ঋণগ্রস্ত। বর্তমানে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকার বেশি খাবার খাওয়াতে হচ্ছে। আমি আর কুলাতে পারছি না। বিশাল আকারের এই ষাঁড়টিকে এবারের কুরবানি হাটে বিক্রি করব। গত বছর কুরবানির হাটে দাম আশানুরূপ না পাওয়ায় বিক্রি করিনি। আশা করি এ বছর ভালো দাম পাব।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. খায়ের উদ্দীন আহমেদ বলেন, জেলার মধ্যে এবার সবচেয়ে বড় গরু হলো রাজবাড়ীর সিংগা গ্রামের সুচিন্ত্য সেনের ষাঁড় গরু সিংহরাজ। গত ৩ বছর যাবত আমরা লক্ষ্য করছি- বড় গরুর চেয়ে মাঝারি আঁকারের ষাঁড়ের চাহিদা বেশি। এজন্য খামারিদের আমরা মাঝারি ষাঁড় গরু পালনের নির্দেশনা দিচ্ছি। যাতে খামারি সেটি খুব সহজেই বিক্রি করতে পারেন। বড় ষাঁড় গরু ক্রেতাদের তেমন চাহিদা নেই বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।