বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
মায়ানমারে সাজা ভোগের পর দেশে ফিরেছেন ২৯ বাংলাদেশি নাগরিক। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর প্রচেষ্টায় এসব বাংলাদেশিকে ৩ অক্টোবর, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে দেশে ফেরত আনা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২-বিজিবি’ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস)।
মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশি নাগরিকরা হলেন মহেশখালী উপজেলার শাকের উল্লাহ (২৮), এখলাছ মিয়া (২৬), শফি আলম (২৫),পারভেজ (২৪),মিজানুর রহমান (১৮),মোবারক মিয়া(২৪),মো. মহিউদ্দীন (২২),ছালামত উল্লাহ(১৭),মং থিন(৪২),গিয়াস উদ্দিন (২২),রাকিবুল হাসান রাকিব(২২),জাহাঙ্গীর আলম(৩৫) ও মোবারক উদ্দিন (১৮)।
উখিয়া উপজেলার মো. শাহেদ(১৮),মো. তারেক(১৮) ও মো. সাবের। বান্দরবান সদরের সিন থোয়ে মং মারমা (৩২),থুইচিং প্রু(২৩), লামা উপজেলার থার তুন হ্লা (৩৬)।
রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ইয়ং ছা থুই মারমা (২৬), থান হ্লা সিন/সোয়ে সিন ওরফে ইউসিচিং মারমা (৩০), বেতবুনিয়া উপজেলার ইউ তান ওয়ারা ওরফে স্যার থুই ইউ (৩৪) টেকনাফ উপজেলার মো. ইরফান (২২),মো. ইলিয়াছ(১৯), মো. জহির আহমেদ (৩১), মো. আবদুল আজিজ (২১), মো. তৈয়ব (৩২),আব্দুর সিদ্দিক (২৭) ও রুবেল (২০)।
মঙ্গলবার টেকনাফ জেটিঘাটে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে টেকনাফ ২-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) জানান, বিজিবি-বিজিপি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক এবং ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকের দেশে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত মায়ানমার এর অভ্যন্তরে Maungdaw POE (Point of Entrz/Exit) নামক স্থানে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এবং ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ, পিইন ফিউ এর অধিনায়ক মায়ানমার এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পতাকা বৈঠকে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট বিজিবি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস)।
এসময় তার প্রতিনিধিদলে ছিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী ও টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক। বিজিপি’র ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মায়ানমার ১নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ, পিইন ফিউ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইয়ে ওয়াই শো।
উক্ত পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশ-মায়ানমার এর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এছাড়াও উভয় দেশের পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, উত্তরোত্তর উন্নতি এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য উভয় দেশের প্রতিনিধি দল মতামত ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন সময় আটক ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক মায়ানমারের কারাগারে আটক ছিল।
কারাভোগ শেষে সেই ২৯ জনকে কূটনৈতিক যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাংলাদেশ ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট এর দীর্ঘদিন প্রচেষ্টার ফলে মায়ানমার কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মায়ানমার থেকে ফেরত আনা ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুলিশের নিকট পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।