শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪২ অপরাহ্ন
শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক
নাচ আর গানে চীনের বসন্ত বরণ উৎসব হয়ে গেল ঢাকাতে।
১৭ জানুয়ারি, বুধবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘ভয়েসেস অব স্প্রিংস: গোল্ডেন ড্রিমস বা সোনালি স্বপ্নময় বসন্তের কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।
যৌথভাবে এই গালা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকার চীন দূতাবাস, দেশটির ইউনান প্রদেশের তথ্য অফিস ও পররাষ্ট্র দপ্তর। সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চীনা শিল্পীদের অ্যাক্রোবেটিক পরিবেশনার সঙ্গে উৎসবে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করেছিল বাংলাদেশের শিল্পীদের লোকনৃত্য পরিবেশনা।
নাচের মাধ্যমে পরিবেশনা পর্বের সূচনা হয়। এরপর ছিল চীনা শিল্পীদের অ্যাক্রোবেটিক শোল্ডার ব্যালে। যুগল এই পরিবেশনায় পুরুষ শিল্পীর কাঁধে ডান পায়ের বুড়ো আঙুলে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে নানা শারীরিক শৈলী মেলে ধরেন শিল্পীরা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিপুল তরঙ্গ রে’ ও কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতাকে সঙ্গী করে পরিবেশনা উপস্থাপন করেন একাডেমির শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘকালের সৌহার্দ্যময় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বার্তা দিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীন সফর করেছেন। একই সময়ে চীনের নেতারাও এ দেশে এসেছেন।
দুই দেশের সম্পর্ক এখন আরও মজবুত হয়েছে। শেখ হাসিনা উন্নয়নের নতুন দরজা খুলেছেন। সেই বাস্তবতায় বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় হবে।’
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘বসন্তের মাধ্যমে চীনা বর্ষপঞ্জির শুরু হয়। সীমানা পেরোনো সে আয়োজনটি নানা দেশের সমান্তরালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশেও। এ উৎসবের মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও বেশি গুরুত্ববহ হবে। এ ছাড়া আগামী বছর আমরা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূরণ করতে যাচ্ছি। এভাবে আমরা দুই দেশের শিল্প বিনিময়ের অনন্য সময় অতিবাহিত করছি।’
লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘ইতিমধ্যে চীনে বসন্ত শুরু হয়ে গেছে, আমাদের বসন্তও খুব দূরে নয়। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ সাংস্কৃতিক ও দার্শনিক বন্ধুত্ব রয়েছে। আমরা মনে করি, শিল্পীরা শান্তির সেরা দূত। দুই দেশের মধ্যে শিল্পচিন্তার আদান-প্রদান উভয় দেশের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’