শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৮ অপরাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

লামায় অবৈধভাবে কাঠ পরিবহনে ব্যবহৃত পোষা হাতি উদ্ধার

বান্দরবানের লামা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি পোষা হাতি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এ সময় আটক হাতির মাহুতসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৬০০ ঘনফুট কাঠও জব্দ করা হয়।

২৩ মার্চ, শনিবার উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি লেমুপালং এলাকার পালং খাল ও শীল ঝিরির মোহনা থেকে এসব কাঠ জব্দের পাশাপাশি হাতি আটক করা হয়। আটক হাতিটি সিলেট জেলার মোমিন কোম্পানির বলে জানান বন কর্মকর্তারা।

সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সরই ও গজালিয়া এ দুই ইউনিয়নের মাঝামাঝি লেলুপালং এলাকার পাহাড়ে শ্রমিক লাগিয়ে বড় বড় আকারের গাছ কেটে হাতি দিয়ে পরিবহনের পর লোকালয়ে নিয়ে অবৈধভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছেন মোরশেদ আলম চৌধুরী ও তার ম্যানেজার মো. রফিক। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক বেলালের নির্দেশনায় লামা সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহি ও ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় সদস্যরা শনিবার সকাল থেকে দুপুরে পর্যন্ত লেমুপালং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় অবৈধভাবে কাঠ পরিবহন কাজে ব্যবহৃত মাহুতসহ একটি হাতি আটক ও গর্জন, শিউলী, লালীসহ বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ জব্দ করেন বন বিভাগ কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম রেজাউল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে হাতি দিয়ে গাছ পরিবহনের খবর পেয়ে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটানা বন বিভাগের দুইটি টিম লেমুপালং মৌজায় অভিযান চালিয়ে মাহুতসহ হাতি ও কাঠ জব্দ করেছি।

তিনি বলেন, ওই এলাকায় কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত আর কোনো পোষা হাতির সন্ধান পাওয়া যায়নি। আটক হাতি শনিবার রাতেই কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলাস্থ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ও আটক হাতির মাহুতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল জানান, অবৈধভাবে কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত পোষা হাতির মালিকের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর অধীনে ও কাঠ পাচার কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফরেস্ট ট্রানজিট রুল্স ১৯৭৩ এর অধীনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

অবৈধভাবে কাঠ পাচার রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।