বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

মাদকে ধুকছে মান্দা, গড়ে উঠেছে শতাধিক স্পট

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর মান্দা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক স্পটে প্রকাশ্যে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবাসহ অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য হরহামেশেই চলছে কেনা-বেচা।

অজ্ঞাত কারণে থানা পুলিশ, প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে নিরব ভূমিকায়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উদাসীনতায় ও কর্তব্যে অবহেলায় এসব অবৈধ কার্যক্রম দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এসব কর্মকাণ্ডে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে পথে বসেছে।

ফলে নেশার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে অনেকেই চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধ জগতে প্রবেশ করেছে। মাঝে মাঝে দুই একজন মাদকসেবীদের গ্রেফতার করলেও মূলহোতা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মান্দায় উল্লেখযোগ্য মাদকের স্পটগুলো হচ্ছে গনেশপুর ইউনিয়নের সতিহাট ঋষিপাড়া (মেটেলপাড়া), সাতবাড়িয়া ও কানবাজার। নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের জোতবাজার ও ঋষিপাড়া।

মৈনম ইউপির মৈনম হঠাৎপাড়া ও ভোলাবাজার। ভালাইন ইউপি বৈর্দ্যপুর বাজার ও তুড়ুকগ্রাম। পরানপুর ইউপির সদলপুর আদিবাসী পাড়া, কালিতলা ও গোপালপুর বাজার।

প্রসাদপুর ইউনিয়নের বিনয়বাজার, প্রসাদপুর নিমতলা ও গোটগাড়ি বাজার। কুসুম্বা ইউপির দেলুয়াবাড়ি বাজার,কিত্তলী, বড়পই হলের মোড় ও বেলালদহ।

মান্দা সদর ইউনিয়নের ফেরিঘাট, শাহাপুর, নলঘৌর ও ঘাটখৈর বাজার। ভারশোঁ ইউনিয়নের ঋষিপাড়া, চৌবাড়িয়া হাট,কালিসভা আদিবাসী পাড়া ও কবুলপুর। তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের বিট পুলিশিং কার্যালয়ের পেছনে সবাই হাট ধানের বাজার এবং নারায়নপুর বাজার।

কালিকাপুর ইউনিয়নের শীলগ্রাম বাজার, কালিকাপুর বাজার, চকগৌরি বাজার ও কাদিরগঞ্জ বাজার। বিষ্ণুপুর ইউপির ফতেপুর বাজার, চকশৈল্ল্যা বাজার এবং বটতলী বাজার।

কসবইউনিয়নের পলাশবাড়ি ও পাজরভাঙ্গা বাজার। কাঁশোপাড়া ইউপির তুলসী রামপুর, চকলী বাজার, কুলিহার, সিংগীহাটসহ উপজেলার আরো বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় মাদক স্পট গড়ে উঠেছে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মাদকের স্পট থেকে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করা হয় বলেই মাদক নির্মূল সম্ভব হচ্ছে না।

মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন উপায়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব মাদক দ্রব্য আমদানি করে উপজেলা এবং উপজেলার বাইরে সরবরাহ করছে। অভিনব কায়দায় এসব মাদক দ্রব্য হিরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা ও দেশী চোরায় মদ সরবরাহ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যক্তি জানান, অতিরিক্ত টাকা হলেই মাদকসেবীদের কাছে পার্সেলের মাধ্যমে হোম ডেলিভারিতে এসব মাদক দ্রব্য সরবরাহ করছে ব্যবসায়ীরা।

অনেকে মোবাইলের খোলে করে ইয়াবা, বাবা, হিরোইন পাচার করছে। এছাড়াও থানা পুলিশের চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য বিশেষ যানবাহন, নারী ও শিশুদের ব্যবহার করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

সমাজের বিজ্ঞজনেরা মনে করছেন, যথাযথ আইনের প্রয়োগ না থাকায়, মাদক বিক্রেতারা পার পেয়ে যাচ্ছে । এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।