বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
মিথ্যা মামলায় বিধবা আলেয়া বেওয়ার দুই মেয়ে মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন নওগাঁর মান্দা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী আলেয়া বেওয়া উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের বান্দাইপুর গ্রামের মৃত বাবু মন্ডলের স্ত্রী।
জানা গেছে, সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে বিধবা আলেয়ার ২টি ছাগলে প্রতিবেশী গোলাম রাব্বানীর কদম গাছের পাতা খায়।পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী গোলাম রাব্বানী, বোন রোজিনা আক্তার, স্ত্রী মুক্তা বেগম বিধবার বাড়িতে প্রবেশ করে লোহার রড় ও বাশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে দুটি ছাগল নিয়ে চলে যায়।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন আহত আলেয়া বেওয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এঘটনায় ওই দিনই আলেয়া বেওয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে এএসআই নান্নু মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুই দিন পরে এসআই জাহিদ আবারো ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কিন্তু ঘটনার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও বিধবার ছাগল উদ্ধার বা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি থানার ওসি শাহিনুর রহমান। পরে মান্দা-নিয়ামতপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমানের সহযোগিতায় ছাগল দুটি উদ্ধার করা হয়।
এঘটনায় বিধবা মামলা করতে চাইলে নানা অজুহাতে গড়িমসি শুরু করে ওসি শাহিনুর রহমান। অবশেষে ঘটনার সাতদিন পর সহকারী পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমানের সহযোগিতায় বিধবার মামলা রেকর্ড হয়। মামলার প্রেক্ষিতে আসামী গোলাম রাব্বানী পুলিশের সাথে আতাঁত করে বিধবাসহ তার বিবাহিত দুই মেয়েকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করে।
বিধবাকে মারপিটের সময় তার দুই মেয়ে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। অথচ পুলিশ তদন্ত ছাড়াই বিধবাসহ তার দুই মেয়েকে আসামী করে মিথ্যা মামলা করেছে।
মিথ্যা মামলার শিকার বিধবার দুই মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে মানসিক ভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। দুই মেয়েকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে।আলেয়া বেওয়ার স্বামী প্রায় ১৮ বছর পূর্বে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। দুই মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর স্বামীর বাড়িতে একাই।
প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনার দিন বিধবার দুই মেয়ে তাদের শশুর বাড়িতে ছিলো। তাদেরকে আসামী করা মোটেও ঠিক হয় নি।
এ ব্যাপারে আলেয়া বেওয়া জানান, আমার অভিযোগের সঠিক তদন্ত না করে উল্টো আমি এবং আমার দুই মেয়েকে আসামী করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমার দুই মেয়েকে আসামী করায় চরম বিপাকে পড়েছি আমি। পুলিশ আমাদের সাথে খুব অন্যায় করেছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহিদ জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায় নি। বিধবা আলেয়া হাসপাতালে থাকায় কথা বলা সম্ভব হয় নি। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।