বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি এলাকায় গরুর মাংসে চর্বি বেশি দেওয়ার জেরে কসাইকে কোপানোর ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি এ মামলার অন্যতম আসামি। তবে প্রধান আসামি হযরত আলী (৪৪) পলাতক।
গ্রেফতার ব্যক্তির নাম ফজলু মিয়া। তিনি অভিযুক্ত কলেজশিক্ষক হযরত আলীর বাবা। রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতকার করে পুলিশ।
এর আগে এ ঘটনায় শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে বাদী হয়ে একটি মামলা করেন কসাই শহিদুলের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে সাপ্টিবাড়ি বাজারে গরুর মাংস কিনতে যান কলেজশিক্ষক হযরত আলী। এসময় কসাই শহিদুল ইসলাম মাংসে এক টুকরো চর্বি দেন।
এনিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। ঘটনার একপর্যায়ে ওই কলেজশিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে চাপাতি দিয়ে শহিদুলের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপ দেন।
এসময় হযরত আলীর বাবা ফজলু মিয়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনিও মারধরে অংশ নেন। পরে আহত শহিদুলকে বাজারের লোকজন উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার ফজলু মিয়াকে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রধান আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।