বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্কঃ
চ্যাম্পিয়ান লিগের আসর বেশ জমে গেছে। হাইভোল্টেজ দল ও খেলেয়াড়রা মাঠে নামছে এবং দলের হয়ে রাখছে দারূণ ভূমিকা। তবে পিএসজির সেরা তিন খেলোয়াড় যেন নিষ্প্রভ ভূমিকায় থেকে যাচ্ছেন। বায়ার্ন মিউনিখের সাথে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে খেললেও পিএসসিজর হার ঠেকাতে পারল না।
ফলে ইউরোপের চ্যাম্পিয়ান লিগের ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে প্যারিস সেইন্ট জার্মিইন (পিএসজি)। এই হারে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ পেল পিএসজি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর এই লড়াইয়ে শুরু থেকেই পিএসজিকে চাপে রাখে বায়ার্ন। একের পর এক আক্রমণে গালতিয়েরের দলকে তেমন কোনো সুযোগই দেয়নি তারা। পুরো প্রথমার্ধ জুড়ে গোলবারে মাত্র একটি শট নিতে পেরেছে ফরাসি ক্লাবটি।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে আক্রমণে উঠেন নেইমার। তবে তাকে ফাউল করে সেই যাত্রায় বায়ার্নকে রক্ষা করেন বেনজামিন পাভার্ড। এর কিছুক্ষণ পরেই পাভার্ডের কাছ থেকে পাওয়া বল প্রায় গোল করে বসেছিলেন জামাল মুসিয়ালা। তবে তার শট রুখে দেন সার্জিও রামোস।
এরপর আরও বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় জার্মান ক্লাবটি। খেলার বাকি সময় আর কোনো দলই গোল করতে না পারায় গোলশূন্য ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরেই ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন কিংসলে কোম্যান। আলফোনসো ডেভিসের দারুণ ক্রসে এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরাসি উইঙ্গার।
এরপর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩তম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন কিংসলে কোম্যান। আলফোনসো ডেভিসের দারুণ ক্রসে এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরাসি উইঙ্গার। এক গোল হজমের পর খেলার ৫৭তম মিনিটে এমবাপেকে মাঠে নামান পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফ গালতিয়ের। তবে খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারেনি দলটি।
নিজেদের মাঠে ম্যাচের বেশিরভাগ সময় কোণঠাসা হয়ে ছিল প্যারিসের ক্লাবটি। শেষ দিকে এমবাপ্পে নামার পর অবশ্য কিছুটা গতি আসে পিএসজির খেলায়। অফসাইডে গোল বাতিল না হলে ফিরতে পারত সমতাও। তবে দিনটি যে পিএসজির ছিলই না। শেষ পর্যন্ত তাই হার নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেরা।
অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাতের আরেক ম্যাচে এসি মিলানের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে ইংলিশ ক্লাব টটেনহাম।