বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
কুষ্টিয়া পোস্ট ডট কমের জন্য সারা দেশে জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান, জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা career@kushtiapost.com ইমেইল এ সিভি পাঠাতে পারেন।

মধুমতি নদী ভাঙনে তিন শতাধিক বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন

নড়াইলের লোহাগড়ার মধুমতি নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ফলে উপজেলার জয়পুর ইউপির পার-আমডাঙ্গা ও লোহাগড়া সদর ইউপির ছাগলছিড়া গ্রামের প্রায় ৩শতাধিক ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

৩ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকালে পার-আমমডাঙ্গা ও ছাগলছিড়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে ভাঙনের দৃশ্য। ওই দুটি গ্রামের লোকজন দীর্ঘ ৩/৪ বছর ধরে মধুমতি নদী ভাঙনে কবলে পড়ে রয়েছে। পার- আমডাঙ্গা ও ছাগলছিড়া গ্রামের প্রায় পাঁচশতাধিক পরিবার নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে তবে ভাঙন প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।

নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পার-আমডাঙ্গা গ্রামের নুরুল আলম মাস্টার, সোহাগ মোল্যাসহ কয়কেজন বলেন, গ্রামের শতবর্ষের মসজিদ-মাদরাসা, কবরস্থানসহ অসংখ্য ঘর-বাড়ি ও শত শত একর ফসলি জমি মধুমতি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে আমরা এখন পথে বসেছি।

এ বিষয় কথা হয় জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৮২ জনকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙন রোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে।

এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যকে নিয়ে আমরা কয়েকবার ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেছি ।

এ ব্যাপারে নড়াইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, ২০২০/২১ অর্থ বছরে নদী ভাঙন রোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। কিন্তু সেটি ও এখন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ওই এলাকার ভাঙনের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে পুনরায় নদী ভাঙন রোধের কাজ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Crafted with by Softhab Inc © 2021
error: আমাদের এই সাইটের লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।